শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

মীরসরাইয়ে দুই পৌরসভারই প্রধান সড়কের বেহাল দশা

mirsarai

তিলক বড়ুয়াঃ  মীরসরাই উপজেলার মীরসরাই ও বারইয়ারহাট পৌরসভাস’ দুটি প্রধান সড়কে সৃষ্ট খানাখন্দের কারণে সড়ক দুটো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেও আজোতক এর কোনো সুরাহা হয়নি। আর এতে করে বেড়েছে সাধারণ যাত্রী থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ।

মীরসরাই পৌরসদর সড়ক ও কলেজ রোড দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাব ও ভারী বর্ষণে সৃষ্ট এসব গর্তগুলো যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীদের জন্য চরম আতঙ্কে রূপ নিয়েছে। চলাচলের সময় খাদগুলো সামনে আসলে যাত্রীদের মনে ভর করে চাপা আতঙ্ক কখন যানবাহন উল্টে গিয়ে পড়তে হয় নালায়। এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী স’ানীয় একটি বিদ্যালয়ের এক শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক কিশোর চন্দ্র রায় বলেন, “প্রতিদিন মেয়েকে নিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে ও ফিরতে এই সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে হয়। এমন দুর্দশাগ্রস’ সড়ক দিয়ে গাড়ী নিয়ে চলাচল করব সে উপায়ও নেই। উপজেলা ও পৌরসভার সম্মুখে এমন জরাজীর্ণ সড়ক বিশ্বাস করা সত্যিই কঠিন।” বিগত বর্ষা চলাকালীন সময়ে এসব সড়ক নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরও এখনো পর্যন- এসব সড়ক পুণঃসংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস’া নিবো-নিচ্ছি করেও কোন গৃহীত ব্যবস’া চোখে পড়েনি।

অপরদিকে উপজেলার বারইয়ারহাট পৌরসভার মেডিপ্যাথ ডায়গনস্টিক সেন্টারের কর্ণার থেকে শানি-রহাট সড়কের দীর্ঘ ১কিলোমিটারের অবস’া দর্শে বোঝাই যায় না এই সড়কে অল্প কিছুদিন পূর্বেই উন্নয়নের কাজ হয়েছিল। নামমাত্র এই উন্নয়নের কাজে পৌর কর্তৃপক্ষ স’ানবিশেষে বিটুমিন ও নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে দায় সারে। অথচ এই সড়কটি দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার পৌরবাসী নিত্য তাদের কর্মস’লে রিক্সা, সিএনজি  স’ানীয় পৌরবাসী মোঃ নিজাম উদ্দিন এই সড়ক  চালিত গাড়ী চলাচল করে।নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে বলেন, “দীর্ঘদিন যাবৎ এই সড়ক দিয়ে চলাচল করে আসছি। মাঝে মাঝে সংস্কার কাজ হতেও দেখি, কিন’ রাস-ার চেহারা পরিবর্তন হতে দেখি না।” উক্ত সড়কের কারণে পৌরসভাবাসীর সীমাহীন দুর্ভোগের বিষয়ে বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র তাহের ভূঁইয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি আশাব্যঞ্জক কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তদুপরি দায়সারা গোছের মন-ব্য করে তিনি বলেন, “এই সড়কে ইতোপূর্বে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। ভবিষ্যতেও আরো অনেক উন্নয়ন হবে।”

তবে সে উন্নয়ন স’ানীয় পৌরবাসীর দুর্ভোগ কতটা লাঘব করতে পারবে সেই প্রশ্ন পৌরবাসীসহ বিশিষ্টজনদের।

Leave a Reply