বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

ফিলিপাইনে ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩৬

in

নিজস্ব প্রতিনিধি

ফিলিপাইনে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সুপার টাইফুন হাইয়ানের আঘাতে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৩৬ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। দেশটির বিমানবন্দর কর্তৃপ রেডিও বার্তার মাধ্যমে এ খবর নিশ্চিত করেছে। রয়টার্স, আলজাজিরা। ট্যাকলোবান বিমানবন্দরের ম্যানেজার জানিয়েছেন, রাস্তায় অন্তত ১০০টি লাশ পড়ে রয়েছে এবং আহত হয়েছে আরো ১০০ জন। স্থলে আঘাত হানা বিশ্বের স্মরণকালের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় হাইয়ানের আঘাতে ফিলিপাইনের ট্যাকলোবান শহরটি প্রায় বিধ্বস্ত হয়েছে। ট্যাকলোবানের রাস্তায় লাশগুলো ছড়িয়েছিল। শুক্রবার সকালে ঘূর্ণিঝড়টি ঘণ্টায় ৩৮৯ কিলোমিটার (২৩৫ মাইল) বেগে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় অঞ্চলে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড়ের সাথে ১৫ মিটার (৪৫ ফুট) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসও উপকূলে আঘাত হানে, পাশাপাশি ৪০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। বাতাসের এ প্রবল বেগে ট্যাকলোবান শহরের ভবনগুলো মারাত্মক তিগ্রস্ত হয় এবং ব্যাপক ভূমিধসের ঘটনা ঘটে। দুর্গত এলাকার বিদ্যুৎ ও যোগাযোগব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার কালে ট্যাকলোবান শহরটি পানিতে ডুবে যায়। শহরটির বিপর্যস্ত যোগাযোগব্যবস্থা ও বিমানবন্দর মারাত্মক তিগ্রস্ত হওয়ায় শহরটিতে পৌঁছতে ত্রাণ সংস্থাগুলোর কর্মীদের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। শুধু সামরিক বিমানযোগে শহরটিতে ত্রাণকার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে। দুর্গত এলাকা থেকে দ্রুত লোকজন সরিয়ে নেয়ায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রশংসা করেছে ফিলিপাইন সরকার। লোকজনকে দ্রুত সরিয়ে নেয়ায় ঘূর্ণিঝড়ের ভয়াবহতার তুলনায় মৃতের সংখ্যা অপোকৃত কম বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নিহতদের প্রকৃত সংখ্যা কয়েক দিনের মধ্যেই পরিষ্কার হবে এবং অনেক বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হাইয়ানের কারণে এক কোটি ২০ লাখ লোক সঙ্কটজনক অবস্থায় আছে বলে দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। গত অক্টোবরে এক শক্তিশালী ভূমিকম্পে এলাকাটি মারাত্মক তিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই তি কাটিয়ে ওঠার আগেই বিশ্বের সবচেয়ে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ের কবলে পড়ল অঞ্চলটি। ট্যাকলোবান হচ্ছে লেইতে দ্বীপের রাজধানী এবং সেখানে অন্তত ২০ লাখ মানুষ বসবাস করছে।

Leave a Reply