শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

পরিস্থিতি বিবেচনায় যে কোন সময় সেনা মোতায়েন : জাবেদ আলী

jabed

 নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে কতদিনের জন্য সেনা মোতায়েন হবে তা নির্দিষ্ট করা হয়নি। পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে যে কোন সময় সেনা মোতায়েন করা হতে পারে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. জাবেদ আলী এ কথা বলেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেনা মোতায়েন করা হবে উল্লেখ করে জাবেদ আলী বলেন, সেহেতু যতদিন প্রয়োজন ততদিন সেনা মোতায়েন থাকবে। প্রয়োজনে সেনা মোতায়েন দীর্ঘ মেয়াদী হবে। বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, আমরা শীঘ্রই আইন শৃংখলা বাহিনীর সাথে বৈঠক করবো। আইন শৃংখলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগুন দেয়া বা অন্য কোনভাবে আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি হলে আইন শৃংখলা বাহিনী ব্যবস্থা নিতে পারবে। আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণার বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বলেন, প্রচারণার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আজই চিঠি দেয়া হচ্ছে। প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন প্রচার প্রচারণা করা যাবে না। আশা করছি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সব ধরণের প্রচারণা বন্ধ হবে এবং পোষ্টারসহ যাবতীয় বিষয়ে পরিচ্ছন্ন দেখা যাবে। প্রার্থীর প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচারণা করা যাবে। এই ব্যাপারে আচরণবিধি অনুযায়ী সকলে কাজ করবে বলে আশা করি।রাজনৈতিক নেতাদের গ্রেফতারের বিষয়ে জাবেদ আলী বলেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কেউ নির্বাচনে প্রভাব ফেললে আমরা অবশ্যই সেখানে হস্তক্ষেপ করব। বিএনপি নেতা হান্নান শাহ গ্রেফতারে কমিশনের হস্তক্ষেপ আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আইন-শৃংখলা বাহিনীর রুটিন কাজ। বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের প্রয়োজনীয় উপকরণ ও দ্রব্যাদি বহনে সমস্যা হলে আমরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেব।মনোনয়নপত্র জমাদানে সময় কম উল্লেখ করলে জাবেদ আলী বলেন, সাত দিন যথেষ্ট সময়। এর আগেও এই রকম সময় দিয়ে নির্বাচন হয়েছে। সব দলকে নির্বাচনে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি সব দল নির্বাচনে আসলে আমাদের জন্য কাজ করা সহজ হবে। আমরা আশা করি সব দল নির্বাচনে আসবে। আমাদের আহ্বান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply