সোমবার, ২২ এপ্রিল ২০২৪, ৯ বৈশাখ ১৪৩১খবরিকা অনলাইনে আপনাকে স্বাগতম।

নিরীহ জনগণকে আটক করে গ্রেপ্তার বাণিজ্য চলছে’

mirja

 

যৌথবাহিনী সারা দেশে নিরীহ জনগণকে আটক করে গ্রেপ্তার বাণিজ্য চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ এক বিবৃতিতে তিনি এ  অভিযোগ করেন। মির্জা আলমগীর বলেন,  ১৮ দলের ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’ কর্মসূচিতে সরকার নজিরবিহীন বাধা দিয়েছে। তিন দিন ধরে সারাদেশে সরকার সড়ক, রেল ও নৌপথে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিল। ঢাকা মহানগরে সকল গণপরিবহন বন্ধ করেছিল। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়, চেয়ারপার্সনের কার্যালয় দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ করে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম ও স্বাভাবিক রাজনৈতিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। তিনি বলেন, বিরোধী নেতা খালেদা জিয়াকে তার বাসভবনে বেশ কয়েকদিন ধরে আটক রাখা হয়েছে। ‘মার্চ ফর ডেমোক্রেসি’র কর্মসূচিতে তাকে যোগ দিতে দেয়া হয়নি। ৫টি বালুর ট্রাক, অসংখ্য পুলিশ, র‌্যাব দিয়ে তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। মির্জা আলমগীর অভিযোগ করে বলেন, সারাদেশে গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে সহ¯্রাধিক বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যৌথবাহিনীর অভিযানের সুযোগে নিরীহ জনগণকে আটকের মাধ্যমে গ্রেপ্তার বাণিজ্য করা হচ্ছে।  তিনি বলেন, রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে মানুষ খুন, হত্যা, গুম, গ্রেপ্তার নির্যাতন করে জনগণের আস্থা অর্জন করা যায় না। দলীয় বাহিনী দিয়ে হামলা করে হাইকোর্ট ও প্রেস ক্লাবের মর্যাদাকে ভূলুণ্ঠিত করে, সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে ক্ষমতায় টিকে থাকার উদগ্র বাসনা আজ জনগণের সামনে উন্মোচিত হয়েছে। গত পাঁচ বৎসরে সরকারে থেকে দুর্নীতির পাহাড় তৈরি করে, গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য ভিন্ন আঙ্গিকে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করার হীন উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগ তার প্রকৃত রুপে জনগণের সামনে ধরা পড়েছে। ফ্যাসিবাদী কায়দায় স্বৈরাচারী একনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।  মির্জা আলমগীর বলেন, জাতি আজ এক চরম সংকটের সম্মুখীন। দেশকে রক্ষার জন্য, গণতন্ত্র রক্ষার জন্য, মৌলিক অধিকার রক্ষার জন্য দেশনেত্রী বেগম বেগম খালেদা জিয়া জাতীয় ঐক্যের আহবান জানিয়েছেন। দলমত নির্বিশেষে এই আহবানে সাড়া দিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে সকল গণতন্ত্রকামী মানুষকে। আওয়ামী লীগের নৈতিক ও রাজনৈতিক পরাজয় ইতিমধ্যেই হয়েছে। চাতুরী করে, বলপ্রয়োগ করে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না- এটাই ইতিহাস। জনগণের বিজয় অবশ্যম্ভাবী

Leave a Reply