চাঁদপুরের কচুয়ার উজানী মাহফিলে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে পাদুকা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া করে স্থানীয় জনতা। এ সময় তার গাড়িসহ দু’টি গাড়ি ভাংচুর করেছে উত্তেজিত মুসল্লিরা। আহত হয় ২০জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ১৬রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে ঢাকায় প্রেরণ করে।পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, কচুয়াবাসী তার কর্মকান্ডে দীর্ঘ দিন যাবৎ ক্ষিপ্ত হয়ে আছে। বৃহস্পতিবার আছর নামাজের পর কচুয়া উপজেলার উজানীর দু’দিন ব্যাপী বাৎসরিক মাহফিলের প্রথম দিনে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর প্রধান অতিথির দাওয়াতে গেলে মুসল্লিদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। মখা আলমগীর মাহফিলের স্টেজে উঠলে উত্তেজিত মুসল্লিরা তাকে পাদুকা ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরিস্থিতি ব্যাগতিক দেখে মাহফিল কর্তৃপক্ষ তাকে দ্রুত স্টেজ থেকে নামিয়ে নেয়। এক পর্যায়ে উত্তেজিত মুসল্লিরা তার গাড়িসহ বহরের একটি গাড়ি ভাংচুর করলে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছোড়ে মহীউদ্দীন খান আলমগীরকে নিরাপদ স্থানে ঢাকায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। এদিকে ঘটনাটি তাৎক্ষণিক এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন জেলা থেকে ওয়াজ শোনার জন্য লোকজন বিভিন্ন যানবাহনযোগে উজানী যাওয়ার সময় পথিমধ্যে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা কচুয়া রহিমানগরসহ অন্যান্য সড়কের সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় কচুয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভাইস চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন চৌধুরী সোহাগের গাড়ী ভাংচুর করে।